এমভয়েস ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, ‘যেটা বায়ান্ন, সেটাই তিপ্পান্ন’ এর মধ্যে যেমন কোন পার্থক্য নেই, তেমনি গোয়ালপাড়া ও শিরিষতলার মধ্যে তেমন কোন দূরত্ব নেই। ডাক দিলেই আওয়াজ ভেসে আসে। তাই গোয়ালপাড়ায় কোন অবকাঠামো ও স্থাপনা নির্মাণের কুফল এবং নেতিবাচক প্রভাব শিরিষতলা হতে শুরু করে আশেপাশের সিআরবি এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আজ রোববার(১৮ জুলাই) বিকেলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিআরবিতে প্রস্থাবিত হাসপাতালের স্থান পরিদর্শন কালে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পরিবেশ বান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন কর্মসূচী সহ পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে এ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগগুলো দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সব সময় পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে এবং জনগনের পালস (অনুভূতি) বুঝে কাজ করে।
সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন সেই হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষের অনুভূতির কথা তিনি জানেন এবং বুঝেন। অপেক্ষা করুন এবং ধৈর্য ধরুন।
আওয়ামী লীগ জনগণের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগনই আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। সাধারণ মানুষের সুখে দুখে থেকে এ দলের এগিয়ে চলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মানুষের উন্নয়নে কাজ করে আওয়ামী লীগ আজ এ পর্যন্ত এসেছে। কিন্তু মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করবে না আওয়ামী লীগ।
জনগনের কন্ঠ যেদিকে আওয়ামী লীগের অবস্থান সেদিকে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মে উন্নয়ন করছে, সে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হয়েছে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে।
মানুষের জন্যই রাজনীতি। রাজনীতির জন্য মানুষ নয়। মানুষের চিন্তা, চেতনা, আবেগ, অনুভূতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা ও স্বপ্নকে সম্মান জানানোই রাজনীতি যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের বিবৃতি, আন্দোলন, সমাবেশের বক্তব্যে যা বুঝলাম, কেউ হাসপাতাল নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। সবাই চায় হাসপাতাল হউক, কিন্তু সিআরবি’র পরিবেশ ও প্রকৃতি বিপন্ন করে নয়। সিআরবি এলাকার অদূরে আমবাগান, পাহাড়তলী, খুলশী সহ এমন অনেক রেলওেয়ের পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। সেখানেই হতে পারে সেই হাসপাতাল।
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই সিআরবি এলাকা ঘুরে তিনি বলেন নৈসর্গিক শোভামণ্ডিত পরিবেশে সবুজ গাছপালায় ঘেরা এমন একটি ঐতিহাসিক ও সুন্দর জায়গা হয়ে উঠেছে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মুক্ত প্রাঙ্গন। নগরীর যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে এখানকার মুক্ত বাতাসে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে আসে অনেকে। পাখীর কলকাকলীতে মুখরিত এই অবারিত সবুজ। তাই সিআরবিকে সবাই প্রাকৃতিক অক্সিজেনের ভান্ডার ফুসফুস বলছেন। তাই এটির সংরক্ষণ আমাদের জাতীয় ও নাগরিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
পরিদর্শনকালে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক ও আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, দর্শনার্থীরা তাঁকে অভিনন্দন জানান।
টিএএস/এএএম/এমএমএইচ/৫