কবি লালনের ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এই কথার মর্মবাণী অন্তরে অনুধাবন করেছেন আওলাদে মাইজভান্ডারী সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারী। যিনি বিগত বছরের ন্যায় এবারও করোনা সংক্রামন বৃদ্ধির পর চলমান লকডাউনে খাদ্য সামগ্রী, রান্না করা খাবার, কখনো ইফতার নিয়ে প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন দুস্থ, অসহায়, ভাসমান এবং পথশিশুদের দ্বারে দ্বারে। মাঝে মাঝে হাতে তুলে দিচ্ছেন নগদ অর্থ সহায়তা। রমজান মাসজুড়েই আয়োজন করেছেন ইফতার ও সেহেরির। এযেন এক মানবিক কর্মযজ্ঞ।
সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারীর এই মহৎ কার্যক্রমের নাম ‘মানবিক ভালোবাসার উপহার’। ইতিমধ্যে গত একমাস ধরে এ পর্যন্ত ৪’শ টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি চনাবুট, ১ কেজি খেসারির ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিড়া, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পিঁয়াজ ভর্তি ‘মানবিক ভালোবাসার উপহার’ তুলে দিয়েছেন। প্রতিদিন ৫০ জন লোকের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছেন। সেই সাথে চলমান আছে ‘মানবিক ভালোবাসার উপহার’ মহৎ সেবাটি।
সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারী নিজে এবং তার মনোনীত ব্যক্তিরা চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার ও রোসাংগিরী, হাটহাজারীর মির্জাপুর, কাটিরহাট, ফরহাদাবাদ, বাঁশখালী এবং নাগরির বাকলিয়া, তুলাতলী, বগারবিল, মুরাদপুর দুই নাম্বার গেট, ষোলশহর এলাকায় ঘুরে ঘুরে ‘মানবিক ভালোবাসার উপহার’ খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন।
গত বছর করোনা মহামারী আকার ধারন করলে খেটে খাওয়া মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পরেন তখন মানবসেবী প্রচার বিমুখ মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বাবে ছোবহান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন আওলাদে মাইজভান্ডারী সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারী সেসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
তিনি ১৭ শত মানুষকে একমাসের খাদ্যদ্রব্য হাতে তুলে দেন। এছাড়া সারা চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে যাওয়া মাদ্রাসা সমূহের শিক্ষক এবং মসজিদের খতিব মুয়াজ্জিনসহ প্রায় দেড়শ আলেম-ওলামাকে এক হাজার টাকা করে মানবিক সহায়তা দেন। পুরো রমজান মাসব্যাপী প্রতিদিন ১শ জন লোকের জন্য ইফতার ও সেহরির আয়োজন করেন। পাশাপাশি অস্বচ্ছলদের হাতে রোজার ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবি, শাড়ি ও লুঙ্গি তুলে দেন।
‘মানবিক ভালোবাসার উপহার’ কার্যক্রমের স্বপ্নদ্রষ্টা করোনা কালের মানবিক বীর আওলাদে মাইজভান্ডারী সৈয়দ গোলাম মোর্শেদ এমভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। করোনা মহামারীর কারণে মানুষ নিঃস্ব। অনেক ভালো প্রফেশনাল লোকেরাও বেকার হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু তারা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেনা। আর রাস্তার ধারে থাকা অসহায় মানুষগুলোর দুচোখ অশ্রু জলে সিক্ত। তাদের দেখলে মন কেঁদে ওঠে। আমি একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি মাত্র। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভাই হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
ইনশাল্লাহ আর্তমানবতার সেবায় মাইজভান্ডারী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ৩০ রমজান পর্যন্ত।
তাআস/আআম/এমএমএইচ/৮