এমভয়েস ডেস্ক: মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী (১৯১৮-১৯৮৪) একাত্তরে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন। তিনি জেনারেল এমএজি ওসমানী নামে অধিক পরিচিত।
ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে। পৈতৃক বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জে। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাস করেন। সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। ১৯৩৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ওসমানী তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ’৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী ভারতে যান। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা প্রদান করা হয় এবং তিনি স্বাধীন দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনীপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি অবসর নেন।
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এমএজি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।
আম/এমএমএইচ/৫