Habibur rahman tareq
হঠাৎ করে বাওয়া স্কুলে প্রেপ ওয়ান থেকে প্রেপ টুতে মাসিক বেতন একলাফে ৪৫০টাকা থেকে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। যা একেবারে আমার জন্য নাভিশ্বাস। পুরো একবছর করোনাকালি সময়ে এক টাকাও মওকুফ না করে পুরো বছর মাসিক বেতন পরিশোধ করেছি। এ এক বছর অল-লাইনে শিক্ষার নামমাত্র পাঠ হলেও চেষ্টা করছি বেতনটুকু পরিশোধ করার। মানবিকতা চিন্তা করে স্কুলগুলো বেতন – ভর্তি মওকুফ করা উচিত ছিল কিন্তু তা না করে উল্টো বেতন ও ভর্তি ক্ষেত্রে এত টাকা বাড়িয়ে দিয়ে অভিভাবকদের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতে অনেকের নুন আনতে পান্তা ফুরাই অবস্হা তাঁর মধ্যে এক লাফে ৪৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা বেতন করা হয়েছে ।সাধারণ অভিভাবকদের কাছে মরার উপর খাঁড়া ঘাঁ উপনিত। আজ ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং মঙ্গলবার সকালে স্কুলে মেয়ের বেতন রশিদ বই আনতে গিয়ে এমনটা দেখে মাথা আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্হা। এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য শুধু নাভিশ্বাসই নয় কষ্টকর ও দুঃখের সীমাহীন । এ সিদ্ধান্তে আমার শুধু নাভিশ্বাস তা নয় আমার মতো আরোও অনেকের । একলাফে এতটাকা বৃদ্ধি জুলুমবাজী সীমারেখা অতিক্রম। গত বছরটি শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন অভিশপ্ত জীবন তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অভিশপ্ত বছর তেমন করে প্রতিটি মানুষের জন্য অভিশপ্ত বছর।যেমনটি মানুষের মানবিকতা চেহারা দেখেছি তেমনিভাবে মানুষের অমানবিকতা দেখছি। বিবেকহীনতা কত প্রকার ও কি কি তা মানুষের কাছে আছে। বাওয়া স্কুল পরিচালনা কমিঠি এতটা অমানবিক কেন? হলেন জানি না। বেতন এক লাফে এত টাকা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন ছিল। সরকারী কমকর্তা -কর্মচারীদের বেতনসহ- সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের বেতন ও সুযোগসুবিধা কমেছে। এ করোনাকালি সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ । এ মানুষগুলো বেশী কষ্টে ছিল। কারো কাছে হাত পাত্তেনি। মুখে লজ্জা পেটে ক্ষুধা নিয়ে জীবন পার করেছে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। আমার জানামতে বাওয়া স্কুলেও মধ্যবিত্তের সংখ্যা বেশী। আমিও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমার অনেক কষ্ট হয়ে যাবে সন্তানের বেতন ও শিক্ষাজীবন পরিচালনা করতে।। রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরেকটি মেয়ে আছে তাঁরও স্কুল ভর্তি বেতনসহ নানান খরচ যোগাতে মাথার ঘাম পায়ের পড়বে। সন্তানদের কিভাবে স্কুলে পাঠাব সেচিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ছে এভাবে যদি একলাফে একমাসে ২৫০ টাকা বেতন বাড়ে তাহলে অন্যন্যা খরচ কিভাবে সামলাব। এক সন্তানের পিছনে স্কুল ও পড়াশুনার জন্য অভিভাবকদের অনেক টাকা গুনতে হয় । তাঁর উপর হঠাৎ করে বাওয়া স্কুল বেতন এত টাকা বাড়লে যাব কোথায়? দয়া করে অমানবিক হবেন না। আপনিও একজন অভিভাবক একটু চিন্তা করুন। পরিস্থিতি জাযগায় নিজকে দাঁড় করান। আমার জানামতে বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজ এমপিও ভূর্ক্ত। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভূর্তুকি দেয়। তাহলে এত টাকা বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন কেনও। মধ্যবিত্তদের কথা একটু চিন্তা করুন সাধারণ মানুষের দিকে একটু তাকান শিক্ষাকে পন্যে পরিনত করবেন না। শিক্ষা এ রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার এ অধিকার হনণ করার চেষ্টা করবেন না। দয়া করে আমার সন্তানটিকে বাওয়া স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। এতটাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই। অনেক কষ্ট হচ্ছে তাঁরপর নিরুপায় হয়ে লিখছি । রাষ্ট্র কোনদিন অমানবিক হতে পারে না, শিক্ষা প্রতিষ্টান কোনদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে পারে না মূল্যেবোধ তখন ভূলুণ্ঠিত হয়। মাননীয় শিক্ষাউপ-মন্ত্রী আপনি আমাদের অভিভাবক।আপনি আমার প্রতি দয়াবান হবেন । আপনার সমীপে আবেদন মানবিক দৃষ্টিতে অমানবিক সিদ্ধান্তটি পরিহার করবেন।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত