1. editor@mvoice24.com : Mahram Hossain : Mahram Hossain
  2. admin@mvoice24.com : admin :
কারাগারে কাঞ্চননগরের কাশেম চেয়ারম্যান - MVOICE 24
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

কারাগারে কাঞ্চননগরের কাশেম চেয়ারম্যান

ডেক্স নিউজ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

এমভয়েস ডেস্ক, মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৩: চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও বিএনপির নেতা জামাল উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণের পর হত্যার মামলায় ২০ বছর ধরে পলাতক আসামি কাঞ্চননগরের আবুল কাশেম চৌধুরী প্রকাশ কাশেম চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন। ওই আদালতে জামাল উদ্দিন অপহরণ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।

কাশেম চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উপজেলার কাঞ্চননগর উখিলবাড়ি গ্রামের মৃত বদিউল আলমের ছেলে। তিনি কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ঘটনার পর থেকে প্রায় ২০ বছর বিদেশে পলাতক ছিলেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ জানান, হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গিয়েছিলেন কাশেম চেয়ারম্যান। সেখানে মামলা বিচারাধীন থাকায় আদালত জামিন না দিয়ে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০০৩ সালের ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে তার পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা দাবি করে। প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী অপহরণকারী চক্রকে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকাও দেয় পরিবার। কিন্তু মুক্তি দেওয়া হয়নি। পরের সংসদ নির্বাচনে আনোয়ারা থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জামাল উদ্দিন। তার পরিবার অভিযোগ করেছিল— মনোনয়ন ঠেকাতে প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্দেশে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।

অপহরণের দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কালা মাহবুব নামে এক আসামি কাঞ্চননগরের গহীন পাহাড়ে জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল দেখিয়ে দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সেই কঙ্কাল উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করতে পারছিলেন না। পরে সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় জামালউদ্দিনের ছেলে চৌধুরী ফরমান রেজা লিটন বাদী হয়ে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। সাড়ে তিন বছর ধরে ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে মামলাটি তদন্ত করেন। এ অবস্থায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্তভার নেয়।

এসআই/এমএমএইচ/০৩

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরো ......
Design Customized By Our Team