এমভয়েস ডেস্ক, সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. এল,এ কাদেরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারি বিভাগের উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী হলে নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস.এম. নোমান খালেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিউরোসার্জারি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মরহুম ডা.এল.এ. কাদেরীর ছোট ভাই, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ও মরহুমের একমাত্র পুত্র ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ কাদেরী।
ডা. সমীর গোপাল দে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানাউল্লাহ শামীম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর কাদের, ডা. মাজেদ সুলতান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. এস.এম. নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রিয় শিক্ষক, নিউরোসার্জারি বিভাগের কিংবদন্তী অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী সততা, আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। চট্টগ্রামে তথা বাংলাদেশে নিউরোসার্জারি শিক্ষার প্রসারে অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী অবদানকে স্বীকার ও বিশ্বাস করে তারা অবশ্যই তাঁকে সম্মান করবেন, স্মরণীয় করে রাখবেন এবং নিজেরাই সফলকাম হবেন।
সভায় বিভিন্ন বক্তা বলেন, অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী শুধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়, বিএমএ, মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি, সিনিয়র ডক্টরস্ ক্লাব, সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস্, সোসাইটি অব সার্জনস্, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে দেশ ও সমাজকে আলোকিত করেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দল-মত-নির্বিশেষে সকল চিকিৎসককে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর মতো গুণাবলী সম্পন্ন নেতা বর্তমানে চিকিৎসক সমাজে নেই। সততা, ন্যায়নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধের জন্য অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে একটি অনুসরণীয় আদর্শ।
সভাশেষে অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ডা. মাজেদ সুলতান।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি/এএএম/৬